সন্তানকে নিয়মিত মাদরাসায় উপস্থিত থাকা নিশ্চিত করতে হবে, ছুটি ছাড়া কখনো অনুপস্থিত রাখা জাবে না। মাদরাসায় পাঠানোর আগে সন্তানের সকল বই,খাতা, কলম, পেন্সিল ইত্যাদি বুঝিয়ে দিবেন। সন্তানের পড়ালেখা সহ সার্বিক বিষয়ের খোজ নিবেন। প্রত্যেক পরীক্ষার ফলাফলের খোজ নিবেন এবং সুন্দর ফলাফলের জন্য উৎসাহ দিবেন। প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দেশিত পোশাকে সন্তানকে মাদরাসায় পাঠাবেন, সবসময় পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার রাখতে হবে। শিক্ষার মানসহ মাদরাসার সার্বিক উন্নতির জন্য গঠনমূলক পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ইনশাআল্লাহ। শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ও আমল-আখলাকের উন্নতির লক্ষে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধাত্ত গ্রহন করবেন, একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে একাত্মতা পোষন করা এবং সার্বিক সহযোগিতা করা আপনার নৈতিক দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য। প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময় ব্যাতীত ফোন করে অথবা সাক্ষাতের অনুরোধ করে ছেলের লেখা পড়ায় বিঘ্নতা সৃষ্টি করবেন না। শিক্ষার্থী নিজের আসবাবপত্র, শিক্ষাসামগ্রী গুছিয়ে হিফাজতে রাখবে। নষ্ট বা হারিয়ে গেলে জিম্মাদারগণকে বিড়ম্বনায় ফেলে কষ্ট দেওয়া যাবে না। কোন অবস্থাতেই উস্তাদ/স্টাফ বা অন্যান্য খিদমাতে নিয়োজিত ব্যাক্তিবর্গের সাথে অসভোনীয় আচরণ করা যাবে না। নিজে কোরআন শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত থেকে বাসায় ইসলামী পরিবেশ কায়েমে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সন্তানকে মাদরাসায় পাঠাবেন। সন্তানের হাতে (প্রয়োজন অতিরিক্ত) টাকা পয়সা দিবেন না। টেলিভিশন, মোবাইল এ ধরনের ডিভাইস থেকে সন্তানদেরকে দূরে রাখবেন। বিশেষ করে ডিজিটাল গেইমস, কার্টুন, ইত্যাদির প্রতি আসক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মহিলা অভিভাবকগণ পর্দাসহকারে শালীন পোষাক পরিধান করে মাদরাসায় আগমন করবেন। মাদরাসার সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখবেন এবং সন্তানের কল্যাণার্থে প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম শ্রদ্ধার সাথে মেনে নিবেন। আপনার কোন পরামর্শ (অভিযোগ গ্রহনযোগ্য নয়) থাকলে অত্যান্ত আদবের সাথে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে মৌখিক/লিখিত জানাবেন । অভিভাবকগণ আল্লাহর নিকট গুনাহমুক্ত জীবন ও বাচ্চাদের মেধা বিকাশের জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। সাথে সাথে উদ্ভাদ মহোদয় এবং মাদরাসার কল্যাণের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন। আমিন